বিশ্ব লক্ষ লক্ষ নারী আজও সুযােগ থেকে বঞ্চিত। ফলে সন্তানের প্রথম শিক্ষকই থেকে যাচ্ছে অজ্ঞানতার অন্ধকারে। উন্নত জাতি গঠনে তৈরী হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। সন্তান শিক্ষিত না হলে স্বাভাবিক ভাবেই জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার।
কেননা আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ফলে একটি দেশের সমাজ, পরিবার সে দেশের উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, এমনকি ব্যক্তিগত উৎকর্ষতার জন্য নারী শিক্ষা অতীব প্রয়ােজন।
নােবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারী শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, নারী শিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণ সমূহের একটি।
তাই আজ সভ্যতা বিকাশে নারী শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন সারা জীবন নারী শিক্ষার জন্য আন্দোলন করে গেছেন।
কেননা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হতে হবে, শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী। না হলে বাঙ্গালী পুরুষ একাকী উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধীকার দেওয়া হচ্ছে। তাই নারীশিক্ষার ব্যাপারে নারী জাতিকে আরও সচেতন হতে হবে।
নারী শিক্ষার ব্যাপক আগ্রগতির জন্য সরকারকে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে এবং অবশ্যই মা, বাবা ও দায়িত্ববান ব্যক্তিগণকে নিজ পরিবারের নারীদের শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
আমরা নারী, আমাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করে নিতে হবে। এভাবে নারীদের স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠতে হবে।